১০টি সেরা ফ্রিল্যান্সিং জব – আপনি ঘড়ে বসেই শিখতে ও করতে পারেন।
হাই বন্ধুরা ওয়েলকাম ব্যাক শামীমব্লগ এ। আজকে আমরা ইন্টারনেটের কিছু জনপ্রিয় জব আইডিয়া সম্পর্কে জানবো যেগুলো চাইলে আপনি ঘরে বসেই শিখতে পারেন বা ঘরে বসেই করতে পারেন। আমাদের প্রত্যেকের জীবনে কোন না কোন কিছু করতে হয় বা আমরা করতে চাই। কেউ ব্যবসা-বাণিজ্য করতে চায় কেউ জব করতে চায় যার যেটা ভালো লাগে সেটা করবে। কিন্তু শুরুর দিকে আমরা বুঝতে পারি না যে কোন জবটা আমাদের জন্য বেস্ট হতে পারে বা কি কি জব অপরচুনিটি রয়েছে আমাদের জন্য। বিজনেস করতে চাইলে কী ধরনের ব্যবসায়িক অপরচুনিটি আমাদের কাছে রয়েছে বর্তমানে এগুলো সম্পর্কে আমরা কনফিউজ থাকি বিশেষ করে শুরুর দিকে। আজকে যে কোন একটি বা একাধিক বিষয়ে এক্সপার্ট তারা একটা সময় কিন্তু জিরোতে ছিল। পরবর্তীতে কাজ করতে করতে তারা এক্সপার্ট হয়ে গিয়েছে। আপনারা যারা কিছুটা কনফিউজড বুঝতে পারছেন না যে কি ধরনের কাজ করা যেতে পারে কি কি অপরচুনিটি রয়েছে এই আর্টিকেলটি তাদের জন্য। আজকের আর্টিকেলের উদ্দেশ্য হচ্ছে কিছু আইডিয়া সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দেয়া, মানে এই না যে আপনি কালকে থেকে জব করতে পারবেন। এখান থেকে আপনি কিছুটা আইডিয়া নিতে পারবেন।
![]() |
ফ্রিল্যান্সিং জব |
অপশন আপনার কাছে রয়েছে এবং এগুলোর মধ্যে যেটা আপনার ভালো লাগে সেটা আপনি করতে পারেন অথবা এটা থেকে আইডিয়া নিয়ে আরও একটু রিসার্চ করে যেটা ভালো লাগে সেটা আপনি করতে পারেন। তাহলে চলুন আজকে আমরা ৮ থেকে ১০ টির মতো জনপ্রিয় কিছু ইন্টারনেটভিত্তিক আইডিয়া ও সেরা ফ্রিল্যান্সং জব নিয়ে আলোচনা করব।
ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট
ওয়ার্ডপ্রেস এর ব্যবহার যদি আপনি ভালভাবে শিখতে পারেন তাহলে আপনি এই রিলেটেড জব করতে পারেন। প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হয় তাদের পণ্য সেবা গুলোকে তাদের কোম্পানি সম্পর্কে যাবতীয় ইনফরমেশন আছে সেগুলো অনলাইনে তাদের কাস্টমার ক্লায়েন্টের কাছে প্রেজেন্ট করার জন্য। আর অনলাইনে যত ওয়েবসাইট রয়েছে তার মধ্যে ৩৫ শতাংশ ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি করা। আরো অনেক জনপ্রিয় প্রন্থা রয়েছে ওয়েবসাইট তৈরি করার সেগুলোর মধ্যে ওয়ার্ডপ্রেসের মার্কেট শেয়ার জনপ্রিয়তা সবথেকে বেশি আর এ জন্য ব্যবহারকারী ও বেশি প্রতিষ্ঠানগুলো ওয়ার্ডপ্রেসকে ব্যবহার করে থাকে। এটির মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরি করার কষ্ট কম হয় ম্যানেজমেন্ট করতে খুব সহজ। যেহেতু অনেক ইউজার রয়েছে তাই অনলাইনে বিভিন্ন ফোরাম গ্রুপ রয়েছে যেখানে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান তারা সহজে নিতে পারে তাও আবার ফ্রিতে। এজন্য ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের অনেক জব মার্কেটপ্লেসগুলোতে পাওয়া যায় এটি ব্যবহার আপনি ভালভাবে শিখতে পারলে একজন ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ডেভেলপার হয়েও আপনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে দিতে পারবেন আর এটি একটি ডিজিটাল সার্ভিস। এই কাজটি সম্পন্ন করে ক্লায়েন্টদেরকে ডেলিভারি করার জন্য কোথাও ফিজিক্যালি যাওয়ার প্রয়োজন নাই অনলাইনে ডেলিভারি করা সম্ভব হচ্ছে।
এসইও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
একটি ওয়েবসাইটকে গুগল এ র্যাংকিং করানোর জন্য তার এসইও করতে হয়। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ওয়েবসাইট ওনার দের হাতে এত সময় থাকে না যে তাদের ওয়েবসাইটের এসইও করবে। তাই তারা এসইও এক্সপার্টদের হায়ার করে থাকে। এসইও ট্রাইব্যুনালের তথ্যমতে প্রতিদিন মানুষ গুগোল এ ৫ দশমিক ৬ বিলিয়ন টাইমস সার্চ করে থাকে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য। বিভিন্ন বিষয় খুঁজে বের করার জন্য। তাই একটি ওয়েবসাইটকে গুগল র্যাংকিং করাতে পারলে অনেক অর্গানিক ভিজিটর বা ট্রাফিক পাওয়া যায়। অনলাইনে এক্সপার্টদের অনেক ডিমান্ড রয়েছে একজন এক্সপার্ট কে কয়েকটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হয় যেমন –
কনটেন্ট রাইটিং
কনটেন্ট মারকেটিং
অন-পেজ এসইও
অফ-পেজ এসইও
লিঙ্কবিল্ডিং এবং ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে বেসিক ধারনা থাকতে হয়।
কনটেন্ট মারকেটিং
অন-পেজ এসইও
অফ-পেজ এসইও
লিঙ্কবিল্ডিং এবং ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে বেসিক ধারনা থাকতে হয়।
প্রফেশনাল ডেভলপার হওয়ার প্রয়োজন নেই একটি ওয়েবসাইট কিভাবে সেটআপ করতে হয় কিভাবে পেজগুলো কাজ করে স্ট্রাকচার গুলো খুব ভালোভাবে জানতে হয়। বিশেষ করে ওয়ার্ডপ্রেস এর ব্যবহারটি খুব ভালোভাবে জানতে হয়।
টি-শার্ট ডিজাইন
আমরা কমবেশি সবাই কিন্তু টি-শার্ট পড়ি আমরা দেখতে পাই ডিজাইন কেউ না কেউ করছে আর তারাই হচ্ছে টি-শার্ট ডিজাইন। আর যাদেরকে দেখা যায় না দেখা যায় তাদের ডিজাইনগুলো। ডিজাইনার হিসেবে এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে পারেন। আপনার কি মনে হয় মানুষ কখনো টি-শার্ট কেনা বন্ধ করবে এটা কখনোই বন্ধ করবে না এটা একটি এভারগ্রীন মার্কেট আমাজন অনেক বড় একটি মার্কেটপ্লেস যেটা আমরা সবাই জানি মিলিয়নস অফ কাস্টমার আমাজনে প্রতিদিন ভিজিট করে এবং সেখান থেকে তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য গুলো কেনাকাটা করে থাকে। শুধুমাত্র এ টি-শার্টের জন্য আমাজন তাদের একটি প্রোগ্রাম লঞ্চ করেছে যেটি নাম হচ্ছে Merch by Amazon প্রোগ্রামের আওতায় একজন ডিজাইনার একটি মার্চেন্ট একাউন্ট ক্রিয়েট করে তার সেই একাউন্টে তার ডিজাইন করা টি-শার্ট গুলোকে সাবমিট করতে পারে। ডিজাইন করা টি-শার্ট বলতে শুধুমাত্র ডিজাইন টা সাবমিট করবে। কোন কাস্টমার যখন আমাজন থেকে সে টি-শার্ট অর্ডার করবে আমাজন সেই টি-শার্ট তৈরি করবে তাদের গোডাউনের স্টক করবে এবং কাস্টমারকে ডেলিভারি করে দিবে।
অর্থাত যত লজিস্টিক কাজ আছে সবকিছু আমাজন করবে একজন ডিজাইনার হিসেবে আপনার কাজ হচ্ছে শুধু আপনার মার্চেন্ট একাউন্ট এর মধ্যে ভালো ভালো ডিজাইন সাবমিট করা। এছাড়াও অন্যান্য যত মার্কেটপ্লেস রয়েছে ফাইবার ফ্রিল্যান্সার এখানেও টি-শার্ট ডিজাইনার হিসেবে কাজ করা যেতে পারে। অনেকে টি-শার্ট ডিজাইনারদের হায়ার করে থাকে তাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য টি-শার্ট ডিজাইন করে নিতে অতয়েব বুঝতেই পারছেন মার্কেট বড়। আপনি চাইলে এখানে কাজ করতে পারেন। ফটোশপ ইলাস্ট্রেটর ব্যবহার খুব ভালোভাবে শিখে একটি শার্ট ডিজাইনের কনসেপ্ট গুলো ক্লিয়ার হতে পারলে আপনি একজন ডিজাইনার হিসেবে এই সমস্ত মার্কেটপ্লেসগুলোতে সহজে কাজ করতে পারবেন। আর যেহেতু এটি একটি ডিজিটাল সার্ভিস ঘরে বসেই শিখতে পারছেন ঘরে বসে ডিজাইন করতে পারছেন এবং শুধুমাত্র ডিজাইনগুলো সাবমিট করার মাধ্যমে আপনি ক্যারিয়ার বিল করতে পারছেন। ফিজিক্যালি কোথাও যেতে হচ্ছে না।
লোগো ডিজাইন
আমাদের আসেপাশে যত প্রতিষ্ঠান দেখে থাকি সবারই কিন্তু লোগো রয়েছে। প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ইউটিউব চ্যানেল, ফেইসবুক পেজ, ফেইসবুক গ্রুপ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এর প্রত্যেকটি প্রোজেক্টের জন্য একটি লোগো ডিজাইন এর প্রয়োজন। এবং আপনার কি মনে হয় মানুষকে এই ধরনের উদ্যোগ নেয়া বন্ধ করবে নতুন নতুন প্রতিষ্ঠানকে মার্কেটে লঞ্চ বন্ধ হবে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার কোম্পানি লঞ্চ এর সবগুলো হয়তো সাফল্য হয়না উদ্যোগটি শুরু করার জন্য কিন্তু একটি লোকের প্রয়োজন হয়। আর লোগো ডিজাইন করে লোগো ডিজাইনাররা পূর্বেও ছিল ভবিষ্যতেও থাকবে। এটি একটি এভারগ্রীন মার্কেট আপনি যদি লোগো ডিজাইনের এক্সপার্টিজ জ্ঞান করতে পারেন আপনাকে কোনদিন জব ছাড়া থাকতে হবে না। অনলাইন অফলাইন সব জায়গাতেই লোগো ডিজাইনার এর ডিমান্ড রয়েছে। আপনি নিজেই সেগুলো একটু রিসার্চ করে জানতে পারবেন যে এই বিষয়গুলোকে ট্রু না ফলস অনলাইনের পাশাপাশি এটা করতে পারেন। ফেসবুক পেজের মাধ্যমে নিজের একটি পোর্টফলিও ওয়েবসাইট করার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান উদ্যোগের জন্য লোগো ডিজাইন করে দেয়ার মাধ্যমে এখানে একটি জবের বায়োটিক ক্যারিয়ার বিল করতে পারবেন।
ফটো এডিটিং
আপনারা একটু সহজ কাজ ঘুচতেছেন তাদের জন্য ফটো এডিটিং হতে পারে একটি ভাল অপশন। অন্যগুলোর তুলনায় ফটো এডিটিং এর কাজ কিছুটা সহজ তবে এটিরও অনেক কাজ রয়েছে। বেশ কিছু কাজ শিখে এই সেক্টরটি তে কাজ করা যেতে পারে আমাজন আলিএক্সপ্রেস সম্পর্কে আমরা সবাই জানি এখানে হাজার হাজার সেলার রয়েছে বিভিন্ন কোম্পানি রয়েছে তাদের পণ্যগুলোকে সেল করছে। এছাড়া বিভিন্ন ই-কমার্স ওয়েবসাইট রয়েছে ফেসবুক পেজ রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন অফার করে থাকে এই পণ্যগুলোর ছবি তুলেই কিন্তু আপলোড করে দেয়া হয় না এগুলোকে এডিটিং করে একটা ভালো প্রেজেন্টেশন তৈরি করা হয় জ্যানো কাস্টমাররা প্রোডাক্ট ইউজ করার পূর্বে সেটাকে ভালোভাবে দেখে নিতে পারে আর এখানে ফটো এডিটর একটি চাহিদা রয়েছে। সেই সেলাররা ফটো এডিটরদের হায়ার করে থাকে। সো প্রোডাক্ট ফটো এডিটিং এর কাজ করার মাধ্যমেও আপনি একজন ফটো এডিটর হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে মাধ্যমে জব করতে পারেন অথবা আপনার নিজের একটি ফেসবুক পেজ ক্রিয়েট করে লোকাল ইউজাররা প্রোডাক্ট সেল করছে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন আপনার সার্ভিস সম্পর্কে তাদেরকে বলতে পারেন।
প্রুফ রিডার
আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছে যারা অন্যের ভুল খুব সহজেই ধরতে পারে। উচ্চারণ ঠিক মত করতে পারছেনা বা জানলেও এখানেও গ্রামাটিক্যাল ভুল রয়েছে এ ভুল ধরতে পারাটাও কিন্তু একটি স্কিল। যেটাকে আপনি সার্ভিস হিসেবে অনলাইনে অফার করতে পারেন। অনেকেই রয়েছে যারা তাদের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকে পার্সোনাল প্রফেশনাল কাজে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট তাদেরকে লিখতে হয়। কিন্তু অন্যান্য কাজ করার কারণে তারা সেগুলোকে ভাল ভাবে রিভিউ করতে পারে না এবং কোন ভুল ত্রুটি আছে কিনা তা চেক করার সময় পায়না। তাই তারা প্রুফ রিডারদের হায়ার করে থাকে যারা এই ভুলগুলোকে ধরতে পারে। প্রোভাইডার এর কাজ হচ্ছে বিভিন্ন আর্টিকেল এর মধ্যে কোন গ্রামাটিক্যাল মিস্টেক আছে কিনা স্পেলিং মিসটেক আছে কিনা এগুলো খুঁজে বের করে সেগুলো ফিক্স করে দেয়া।
আপনি যদি ইংরেজি বা অন্যান্য ভাষায় ভালো হয়ে থাকেন এবং এই ধরনের ভুল ত্রুটি আপনি সহজেই ধরতে পারেন তার মানে আপনার কাছে অলরেডি একটি স্কিল আছে। যেটিকে আপনি অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে সার্ভিস হিসেবে অফার করার মাধ্যমে এই ইন্ডাস্ট্রিতে জব করতে পারেন। এবং অন্যের লেখা গুলোকে প্রপারলি ফরম্যাট করে দিতে পারেন বা কারেকশন করে দিতে পারেন।
মোশন গ্রাফিক্স
বিভিন্ন ভিডিওতে আপনার এনিমেশন দেখতে পান যেমন এনিমেটেড টাইটেল ক্রিকেট ফুটবল খেলা দেখলে আপনারা দেখতে পাবেন যে সেখানে এনিমেটেড স্কোরবোর্ড থাকে নিচে একটি বার থাকে যেখানে খেলার আপডেট দেখা যায়। এই যে এনিমেটেড বারগুলো বা ইফেক্টগুলো আমরা দেখতে পাই এগুলো সাধারণত মোশন গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা ডিজাইন করে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য বা সেবা গুলোকে সহজে প্রেজেন্ট করার জন্য বিভিন্ন ধরনের এনিমেশন ভিডিও তৈরি করে থাকে। ইউটিউবে লক্ষ্য করলে দেখবেন বিভিন্ন চ্যানেলের ইন্ট্রো ভিডিও দেখা যায় এগুলো সাধারণত মোশন গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের কাজ এবং এই কাজগুলোর অনলাইনে অনেক ভালো ডিমান্ড রয়েছে। কয়েকটি সফটওয়্যার এর কাজ জানতে হয় গ্রাফিক ডিজাইনার হতে হলে। যেমন ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর, প্রিমিয়ার প্রো, আফটার ইফেক্ট, এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে কিছুটা নলেজ এর প্রয়োজন হয়। কারণ গ্রাফিক্স ডিজাইন এনিমেশন এর সমন্বয়ে মূলত মোশন গ্রাফিক্স করা হয়।
ওয়েবসাইট ফ্লিপিং
ধরুন আপনি একটি টি-শার্ট ডিজাইন নিয়ে কাজ করছেন তার পাশাপাশি কিছুটা সময় আছে আপনি চাইলে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। কিছু ফ্রি ডিজাইন সেই ওয়েবসাইটে সাবমিট করতে পারেন। কিছু রিসোর্স পাবলিশ করতে পারেন কিছু কন্টেন্ট পাবলিশ করতে পারেন এবং সেই ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আসা শুরু করলে সে ওয়েবসাইট একটা ভ্যালু তৈরি হবে তখন আপনও চাইলে ওয়েবসাইট বিক্রি করে দিতে পারেন ফ্লিপা নামক মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে। ফ্লিপা একটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেচ যেখানে ডিজিটাল কেনাবেচা করা হয়। যেমন ওয়েবসাইট একটি ডিজিটাল প্রপার্টি একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ একটি ডিজিটাল প্রপার্টিজ যদিও এ জবটিকে আমি প্রাইমারি জব হিসেবে রিকমেন্ড করব না বরং এটাকে সেকেন্ডারি হিসেবে নিবেন। আপনি মুলত যে প্রফেশনে আছেন পাশাপাশি নিজের কোনো এক্সট্রা প্রজেক্ট যদি আপনি ডেভলপ করতে পারেন তবে সেটিকে মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে অফার করতে পারবেন এবং সে প্রজেক্ট থেকে যে রেভিনিউ আসছে সেটা ৩০ থেকে ৪০ গুন দামে এ মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে আপনি সেল করতে পারবেন। ফ্লিপা মার্কেটপ্লেসে যখন ভিজিট করবেন তখন দেখতে পাবেন সেখানে ওয়েবসাইটগুলো কি পরিমান দামে বিক্রি হচ্ছে। এবং এ মার্কেটপ্লেসে ই-কমার্স ওয়েবসাইট, কন্টেন্ট বেজ ওয়েবসাইট, এ্যাডসেন্স ওয়েবসাইট গুলো সবথেকে বেশি বিক্রি হয়ে থাকে। আপনার বর্তমান যে কাজ আপনি করছেন বা করবেন ভবিষ্যতে তার পাশাপাশি আপনি চাইলে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। ব্লগিং শুধুমাত্র ব্লগারদের জন্য নয় এটা যেকোনো প্রফেশনের মানুষই ব্লগিং করতে পারে। একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে তার নলেজ শেয়ার করতে পারে বিভিন্ন রিসর্স শেয়ার করতে পারে এবং সেগুলোর মাধ্যমে একটি ওয়েব সাইট ডেভলপ করতে পারলে সেটা থেকে বিভিন্নভাবে রেভিনিউ জেনারেট করা যায় বা ফ্লিপার মত মার্কেটপ্লেসে সেটা বিক্রি করার মাধ্যমে ভালো মানের রেভিনিউ আর্ন করা যায় এবং ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে সেই টাকা নিয়ে আসা যায়। সো ওয়েবসাইট ফ্লিপিং দারুন একটি অপশন হতে পারে আপনার বর্তমান কাজের পাশাপাশি আরেকটি রেসোর্স ডেভলপ করার জন্য।
শেষ কথাঃ এই ছিলো আজকের মত কিছু জব আইডিয়া। আশা করি কিছুটা হল আইডিয়া পেয়েছেন। আপনার যে কাজটি করতে ভালো লাগে সেটি নিয়েই আপনি অনলাইনে কাজ করতে পারেন আপনি বর্তমানে কি ধরনের প্রতিষ্ঠান জব করছেন অফলাইনে হোক বা অনলাইনে হোক কোন সেক্টরে জব করছেন কি ধরনের কাজ আপনি করেন নিচে কমেন্ট সেকশনে আমাদেরকে জানান যেন আপনার কাছ থেকে আমরা কিছু শিখতে পারি। নতুন কোন আইডিয়া আমরা পেতে পারি। পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে আবারও কথা হবে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লা হাফেজ।