হালাল উপার্জনের বরকত

 

হালাল উপার্জন, বরকত
Image Credits: Pixabay

হালাল উপার্জনের বরকত

দেওবন্দে আবদুল্লাহ শাহ নামে এক ব্যক্তি ছিলেন। তিনি ঘাস বিক্রি করতেন। যা পাওয়া যেত এর ১/৩ অংশ মাকে দিতেন। এক অংশ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করতেন আর এক অংশ নিজের জন্য ব্যয় করতেন। একবার তিনি হযরত ইয়াকুব নানুতবী (রহঃ) ও অন্যান্য উলামায়ে কেরামকে দাওয়াত করলেন। মাওলানা বললেন, তোমার নিকট কি আছে যে দাওয়াত করবে? তিনি বললেন, যে অংশ দান করি এর থেকেই দাওয়াত করব। মোটকথা পাঁচ আনা পয়সা জমা করে মাওলানার কাছে নিয়ে এসে বললেন, আপনি নিজেই পাকিয়ে খেয়ে নেন। আমি কোথায় কিভাবে ব্যবস্থা করব? (বর্তমান জমিদারগণ যদি এ পন্থা অবলম্বন করে নিত। কতইনা উত্তম হতো।)

মাওলানার নিকট কয়েকজন মেহমান ছিল। সকলে মিলে পরামর্শ করল যে, কোন সস্তা জিনিস নিয়ে আসা যাক। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হলো, চাল গুড় মিলিয়ে খিচুড়ী পাকানোর। অত্যন্ত সতর্কতার সহিত পরিষ্কার-পরিচ্ছয় হাড়িতে বাবুর্চিকে অজু সহকারে পাকাতে বলা হলো। পাঁচ আনার দ্রব্যাদি ছিলই বা কতটুকু। সকলে এক লোকমা করে খেয়ে নিলেন। মাওলানা ইয়াকুব সাহেব বলেন যে, এই দুই লোকমার এতো বরকত ছিল যে, এক মাস পর্যন্ত কলবে নূর ও বরকত অনুভূত হচ্ছিল।

ফায়দাঃ হযরত থানভী (রহঃ) বলেন, কারো উপার্জনের মাত্র এক লোকমা খানার অবস্থা ও প্রতিক্রিয়া যদি এ হয় তবে যার সারা জীবনের উপার্জিত খানাই এরূপ তার কি অবস্থা হতে পারে নিজেই চিন্তা করুন। বন্ধুগণ! যখন আল্লাহ ও রাসূলের মহব্বত অন্তরে সৃষ্টি হয় তখনই কেবল
এমন অবস্থা হওয়া সন্তব।

Add a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *