শবে কদরের নামায-শবে কদর নামাযের নিয়ত।
![]() |
Image Credits: Pixabay |
শবে কদরের নামায
এ শাবান মাসের সাতাশ তারিখ রাত্রটি এতই ফযীলতপূর্ণ যে স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনে বলেছেন-
لَيۡلَةُ ٱلۡقَدۡرِ خَيۡرٌ۬ مِّنۡ أَلۡفِ شَہۡرٍ۬
অর্থাৎ “শবে কদরের রাত্রি হাজার মাস হতেও উত্তম।
কত হাজার মাসহতে উত্তম তা খোদাই জানেন। হযরত রাছূলে আকরাম (সঃ) এরশাদ করেছেন, হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা তোমাদের অন্ধকার কবরকে রৌশনও আলোকময় করতে চাইলে শবে ক্বদরের এবাদত বন্দেগীতে মশগুল থাক।
হযরত (সঃ) আরও ফরমায়েছেন, যে ব্যক্তি ক্বদরের রাত্র পাবে এবং ঐ রাত্রে এবাদত বন্দেগী করবে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার উপর দোযখের আগুণ হারাম করে দেবেন।
অন্য এক হাদীসে আছে, হুজুর (সঃ) এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ক্বদরের রাত্রে এবাদত করার নিয়তে গোসল করে আল্লাহ তায়ালা তার পদদ্বয় ধোয়ার পূর্বেই তার সমস্ত গুণাহ মাফ করে দেন।
শবে বরাতের নামাযের মত শবে ক্বদরের নামাযেরও কোন নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। তবুও বুযুর্গানে দ্বীন নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম বলেছেন। যেমন-
প্রথম নিয়মঃ ক্বদরের রাত্রে দু’দু রাকয়াত করে মোট আট রাকয়াত নামায আদায় করবে এবং প্রথম চার রাকয়াতের প্রত্যেক দু’দু রাকয়াতের প্রথম দু’ রাকয়াতে সূরা ফাতিহার পর সূরা ক্বদর তিন বার এবং শেষ দু’রাকয়াতে সূরা ফাতিহার পর সূরা এখলাস পঞ্চাশ বার পাঠ করবে।
তারপর বাকী চার রাকায়াতের প্রত্যেক দু’ দু রকয়াতের প্রথম রাকয়াতে সূরা ফাতিহার পর সূরা ক্বদর তিন বার এবং শেষ দু’রাকয়াতে সূরা ফাতিহার পর সূরা এখলাস একশতবার আদায় করবে।
দ্বিতীয় নিয়মঃ নামায দু’দু রাকায়াত করে নিয়ত করবে। অতঃপর প্রত্যেক দু’ রাকয়াতের প্রথম রাকয়াতে সূরা ফাতিহার পর সূরা ক্বদর একবার এবং প্রত্যেক দ্বিতীয় রাকয়াতে সূরা ফাতিহার পর সূরা এখলাস তিন বার পাঠ করবে এবং এভাবে যত ইচ্ছে তত নামায পড়তে পারবে। এর ফাঁকে ফাঁকে কোরআন তেলাওয়াত ও জিকির ইত্যাদি করা উচিত।
দু’রাকয়াত শবে কদর নামাযের নিয়ত
বাংলা উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা রাকয়াতাই ছালাতিল লাইলাতিল ক্বাদরি, ছুন্নাতু রাছুলিল্লাহি তায়ালা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল্ কাবাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা নিয়তঃ আমি কেবলা মুখী হয়ে আল্লাহর উদ্দেশ্যে দু’রাকয়াত শবে কদর নামাযের নিয়ত করলাম, আল্লাহু আকবার।