রোযার নিয়ত – ইফতার করিবার নিয়ত সেহরি ও ইফতার।
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে রমযান মাসের রোযা ইসলামের তৃতীয় রুকন। সোবহে সাদেক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোযার নিয়ত করে পানাহার, সহবাস ইত্যাদি থেকে বিরত থাকলে শরীয়তের পরিভাষায় তাকে রোযা বলে।
রোযা আল্লাহ পাকের কাছে অতি প্রিয় এবাদত। কোরআন-হাদীসে রোযার ফজিলত সম্পর্কে অনেক বর্ণনা রয়েছে। সারা বছরের মধ্যে রমজান মাসই সর্বোত্তম ও বরকতময়।
![]() |
Image Credits: Pixabay |
রোযার নিয়ত :
نويت ان اصوم غدا من شهر رمضان المبارك فرضا لك ياالله فتقبل منى انك انت السميع العليم
উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম মিন শাহরি রামাযানাল মুবারাকি ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহ ফাতাকাব্বাল মিন্নী ইন্মকা আন্তাছ ছামী’উল আলীম।
অর্থ : আমি আগামী কাল তোমার রমজান শরীফের ফরজ রোযা রাখবার নিয়ত করলাম। হে আল্লাহ! আমার রোযা কবুল কর। নিশ্চয় তুমি সর্বোত্তম ও সর্বজ্ঞানী।
রোযার আগের রাত্রে নিয়ত করলে উপরোক্ত নিয়তই করবে। যদি পরদিন (রোযার দিন) সকালে (সুবহে সাদেকের পর থেকে দুপুরের আগ পর্যন্ত সময়ে করে, তাহলে) ‘গাদাম’ এর স্থলে ‘আল ইয়াওমা’ বলবে (অর্থাৎ- আজকের)।
সেহরি
রোযার নিয়তে শেষ রাত্রে কিছু খাওয়াকে সেহরী বলে। সেহরী খাওয়া সুন্নাত। সেহরীর সময় একটি খোরমা বা সামান্য পানি পান করলেও সেহরীর সুন্নাত আদায় হয়ে যাবে।
কোন কারণে যদি শেষ রাত্রে ঘুম না ভাঙ্গে তাহলে সেহরী না খেয়ে রোযা রাখলেও রোযা হয়ে যাবে। সেহরী না খাওয়ার কারণে রোযা না রাখলে গোনাহ হবে। সোবহে সাদেকের আগ পর্যন্ত সেহরী খাওয়া যায়েজ। সোবহে সাদেক হয়ে গেলে আর কিছুই খাওয়া জায়েয নয়। খেলে রোযাই নষ্ট হয়ে যাবে।
ইফতার
সূর্যাস্তের পর দেরী না করে তাড়াতাড়ি ইফতার করা মোস্তাহাব। দেরী করে ইফতার করা মাকরূহ। অবশ্য আকাশ যদি মেঘাচ্ছন্ন থাকে তাহলে সামান্য দেরী করে ইফতার করবে। খেজুর- খোরমা দ্বারা ইফতার করা সবচেয়ে উত্তম। তা না পেলে কোন মিষ্টিদ্রব্য বা পানি দ্বারাই ইফতার করা ভালো। নিম্নোক্ত দোয়া পড়ে ইফতার করবে।
ইফতার করিবার নিয়ত
বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ছুমতু লাকা ওয়া তাওয়াক্কালতু আলা রিযকিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমারই জন্য রোযা রেখেছি এবং তোমারই রিজিক দ্বারা ইফ্তার করতেছি। তোমারই করুণায়। হে দয়াশীলদের মধ্যে সর্বাধিক দয়ালু!