মানুষ চলাচলের সম্ভবনা থাকলে সামনে সুতরা রেখে নামায পড়া
হযরত আবু জুহাইম রা. বলেন: আমি রসূলুল্লাহ স.কে বলতে শুনেছি, নামাযীর সামনে দিয়ে অতিক্রমকারী যদি জানত তার অপরাধ কী পরিমাণ, তাহলে তার নিকটে চল্লিশ বছর পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকা নামাযীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করার চেয়ে উত্তম হত। (মুসনাদে বায্ যার-৩৭৮২) শাব্দিক কিছু তারতম্যসহ এ হাদীসটি বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী ও ইবনে মাযা শরীফেও বর্ণিত হয়েছে।
![]() |
সুতরা রেখে নামায |
হাদীসটির স্তর: সহীহ। এ হাদীসটির রাবীগণ সকলেই বুখারী/মুসলিমের রাবী। আল্লমা হাইসামী বলেন, হাদীসটি বয্ যার বর্ণনা করেছেন এবং এর রাবীগণ সহীহ হাদীসের রাবী। (মাযমাউজ যাওয়ায়েদ-২৩০২)
হযরত সাবরা বিন মা’বাদ রা. থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত আছে যে, রসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করেন, তোমাদের কেউ নামায আদায় করার সময় যেন সুতরা বানিয়ে নেয়। যদিও তা তীর দ্বারা হয়। (ইবনে আবি শাইবা-২৮৭৯)
হযরত আয়েশা রা. বলেন: তাবুকের যুদ্ধের সময় রসূলুল্লাহ স.-এর কাছে নামাযীর সামনের সুতরা সম্পর্কে জিঙ্গেস করা হলে তিনি বললেন: তা হলো হাওদার পিছনের খুঁটির ন্যায়। (মুসলিম: ৯৯৬-৯৯৭) শাব্দিক কিছু তারতম্যসহ এ হাদীসটি নাসাঈ শরীফেও বর্ণিত হয়েছে।
হযরত আতা বিন আবি রবাহ রহ. থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত আছে যে, ‘হাওদার পিছনের খুঁটির পরিমাণ হলো এক হাত বা তার কিছু বেশী। (আবু দাউদ: ৬৮৬)
হযরত সাহল বিন আবু হাছমা রা. থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করেন, যখন তোমাদের কেউ সুতরার দিকে নামায আদায় করবে সে যেন সুতরার এতটা নিকটবর্তী হয়ে দাঁড়ায় যে, শয়তান তার নামায নষ্ট করতে না পারে। (মুসনাদে আহমাদ-১৬১৩৪) এ হাদীসের তাহকীকে শায়খ শুআইব আরনাউত বলেন, হাদীসটির সনদ সহীহ।
সারসংক্ষেপ: উপরোক্ত হাদীসগুলো থেকে প্রমাণিত হয় যে, নামাযের সামনে দিয়ে অতিক্রম করা যেহেতু বড় ধরনের অন্যায় তাই নামাযীকে এটা খেয়াল রাখতে হবে যে, সুতরা বিহীন নামাযে দাঁড়ানোর করণে যেন কেউ এ অন্যায় করতে বাধ্য না হয়। আবু দাউদ শরীফ ৬৮৯ নং হাদীসে বর্ণিত আছে যে, কেউ সুতরা না পেলে যেন লাঠি দাঁড় করে নেয় আর তাও না পেলে যেন সামনে দিয়ে দাগ টেনে নেয়। এর বাইরে দিয়ে কেউ অতিক্রম করলে তার কোন অপরাধ হবে না। সুতরার পরিমাণ হবে এক হাত বা তার বেশী এবং মুসল্লী সুতরার কাছাকাছি দাঁড়াবে।
হযরত সাবরা বিন মা’বাদ রা. থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত আছে যে, রসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করেন, তোমাদের কেউ নামায আদায় করার সময় যেন সুতরা বানিয়ে নেয়। যদিও তা তীর দ্বারা হয়। (ইবনে আবি শাইবা-২৮৭৯)
হযরত আয়েশা রা. বলেন: তাবুকের যুদ্ধের সময় রসূলুল্লাহ স.-এর কাছে নামাযীর সামনের সুতরা সম্পর্কে জিঙ্গেস করা হলে তিনি বললেন: তা হলো হাওদার পিছনের খুঁটির ন্যায়। (মুসলিম: ৯৯৬-৯৯৭) শাব্দিক কিছু তারতম্যসহ এ হাদীসটি নাসাঈ শরীফেও বর্ণিত হয়েছে।
হযরত আতা বিন আবি রবাহ রহ. থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত আছে যে, ‘হাওদার পিছনের খুঁটির পরিমাণ হলো এক হাত বা তার কিছু বেশী। (আবু দাউদ: ৬৮৬)
হযরত সাহল বিন আবু হাছমা রা. থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করেন, যখন তোমাদের কেউ সুতরার দিকে নামায আদায় করবে সে যেন সুতরার এতটা নিকটবর্তী হয়ে দাঁড়ায় যে, শয়তান তার নামায নষ্ট করতে না পারে। (মুসনাদে আহমাদ-১৬১৩৪) এ হাদীসের তাহকীকে শায়খ শুআইব আরনাউত বলেন, হাদীসটির সনদ সহীহ।
সারসংক্ষেপ: উপরোক্ত হাদীসগুলো থেকে প্রমাণিত হয় যে, নামাযের সামনে দিয়ে অতিক্রম করা যেহেতু বড় ধরনের অন্যায় তাই নামাযীকে এটা খেয়াল রাখতে হবে যে, সুতরা বিহীন নামাযে দাঁড়ানোর করণে যেন কেউ এ অন্যায় করতে বাধ্য না হয়। আবু দাউদ শরীফ ৬৮৯ নং হাদীসে বর্ণিত আছে যে, কেউ সুতরা না পেলে যেন লাঠি দাঁড় করে নেয় আর তাও না পেলে যেন সামনে দিয়ে দাগ টেনে নেয়। এর বাইরে দিয়ে কেউ অতিক্রম করলে তার কোন অপরাধ হবে না। সুতরার পরিমাণ হবে এক হাত বা তার বেশী এবং মুসল্লী সুতরার কাছাকাছি দাঁড়াবে।