মধু কি-মধুর উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম।

আসসালামু আলাইকুম!! আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। মধু আমাদের খুবই পরিচিত একটি জিনিস। প্রাচীনকাল থেকেই রুপচর্চা,রোগ প্রতিরোধ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মধুর ব্যবহার হয়ে আসছে। আজ আমি আপনাদের সাথে মধুর কিছু উপকারিতা শেয়ার করছি আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন। চলুন শুরু করা যাক-
মধু কিঃ
সাধারণত বলতে পরি, মধু লক্ষ লক্ষ মৌমাছির অক্লান্ত পরিশ্রম এবং সেবা জীবনের উপহার। ফুলে ফুলে বিচরণ করে মৌমাছিরা অনেক কষ্ট করে ফুলের রেণু ও মিষ্টি রস সংগ্রহ করে পেটে বা পাকস্থলীতে রাখে। তারপরে মৌমাছির মুখ থেকে নিঃসৃত লালা মিশ্রিত হয়ে জটিল রাসায়নিক বিক্রিয়া হয়ে মধু তৈরি করে। পরে মুখ থেকে মৌচাকে রাখে মৌমাছির দল।
মধুর উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়মঃ
১. প্রতিদিন সকালে উষ্ণ গরম পানিতে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
২. এক চামচ মধুর সাথে আদার রস মিশিয়ে সকাল সন্ধ্যা খেলে কাশির উপশম হয়।
৩. এক গ্লাস গরম দুধের সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে রাতে ঘুম ভালো হয়। কারন এতে থাকা কার্বোহাইড্রেড মস্তিষ্ককে ঠান্ডা রাখে।
৪. মধু কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে।নিয়মিত মধু খেলে হার্ট অ্যাটাক এর ঝুঁকি কমে যায়।
৫. এলার্জি থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন মধু খেলে এতে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এতে অ্যান্টি ইনফ্লামেটারি এবং অ্যান্টি ভাইরাল প্রপাটি থাকে।
৬. হজম শক্তি বাড়াতে মধু অনেক উপকারী।
৭. মধু এর সাথে তুলশী পাতার রস খেলে কাশির উপশম হয়।
৮. রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে মধু অনেক উপকারী।
৯. মধুর সাথে দারচিনি গুড়া মিশিয়ে খেলে তা রক্তনালি পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
১০. মধু রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমান ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দেয়।
১১. হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায় নিয়মিত মধু ও দারচিনির মিশ্রণ খেলে।
১২. শরীরে জোড়ার জোড়ায় ব্যাথা থাকলে তা থেকে দ্রুত মুক্তি মেলে মধু খাওয়ার মাধ্যমে।
১৩. যে অবাঞ্ছিত রসের কারণে বাতের জন্ম সেই রসের অপসারণে মধু বিশেষ ভূমিকা রাখে ফলে বাতের ব্যাথা সেরে যায়।
১৪. মধুতে আছে প্রচুর পরিমানে প্রাকৃতিক চিনি এই চিনি শরীরে শক্তি যোগায় এবং শরীরকে কর্মক্ষম রাখে।
শেষ কথাঃ
আমরা অনেকেই জানিনা যে মধু অনেক উপকারী হলেও সঠিক সময়ে সঠিক ভাবে ব্যবহার না করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়না।সুতরাং আমাদেরকে সঠিক ভাবে মধুর ব্যবহার করতে হবে। এখন আমি আপনাদের বলবো কখন কিভাবে মধু ব্যবহার করতে হবে।
মধু দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। গরমের সময় মধু খেলে অনেকেরই সমস্যা হতে পারে। এজন্য গরমের সময় পানির সাথে মধু মিশিয়ে খেলে সমস্যা হবে না ইনশাল্লাহ। শীতের সময় মধু দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে ফলে শীতের উপশম হয়। শরীর উষ্ণ থাকে।