নামাযে কুরআন পাঠ করা জরুরি
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, কুরআন থেকে যা তোমাদের জন্য সহজ হয় তা পাঠ কর। (ছূরা মুযযাম্মিল: ২০)
সারসংক্ষেপ : এ আয়াত থেকে প্রমাণিত হয় যে, নামাযের মধ্যে কুরআনের যে কোন স্থান থেকে পাঠ করা ফরয।
![]() |
নামাযে কুরআন পাঠ |
হযরত আবু হুরাইরা রা. থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত আছে যে, রসূলুল্লাহ স. এক গ্রাম্য ব্যক্তিকে নামায শিখাতে গিয়ে বললেন যে, তাকবীরে তাহরিমা বলার পরে কুরআন থেকে যা তোমার জন্য সহজ তা তিলাওয়াত করবে। (বুখারী: ৬২১২) শাব্দিক কিছু তারতম্যসহ এ হাদীসটি মুসলিম, নাসাঈ, আবু দাউদ, ইবনে মাযাহ এবং তিরমিযী শরীফেও বর্ণিত হয়েছে। (জামেউল উসূল – ৩৫৭৮)
সারসংক্ষেপ : এ হাদীস থেকেও প্রমাণিত হয় যে, নামাযের মধ্যে কুরআনের যে কোন স্থান থেকে পাঠ করা ফরয।
সারসংক্ষেপ : এ হাদীস থেকেও প্রমাণিত হয় যে, নামাযের মধ্যে কুরআনের যে কোন স্থান থেকে পাঠ করা ফরয।
নামাযে পাঠিত কুরআন সহীহ-শুদ্ধ হওয়া জরুরি
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন: আপনি কুরআন পাঠ করুন তারতীলের সাথে।(ছুরা মুযযাম্মিল:৪)
হযরত আনাস রা. সহীহ সনদে বর্ণিত আছে যে, রসূলুল্লাহ স. টেনে টেনে কিরাত পড়তেন। (বুখারী: ৪৬৭৭)
হযরত উম্মে সালামা রা. থেকে হাসান সনদে বর্ণিত আছে যে, নবী কারীম স.-এর কুরআন পাট ছিলো শব্দে শব্দে সুস্পষ্ট। (তিরমিযী -২৯২৩, নাসাঈ-১০২৫ ও আবু দাউদ-১৪৬৬)
সারসংক্ষেপ : এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, রসূলুল্লাহ স. কুরআনে কারীম টেনে টেনে মদ সহকারে পাঠ করতেন। সুতরাং নামাযে কুরআন পাঠ করার সময় খুব খিয়াল রাখা যেন তিলাওয়াত তারতীলের সাথে হয়। মদ, গুন্না এবং মাখরাজ ঠিক মত উচ্চারণ হয়।