দোয়া কবুল হওয়ার আমল – এই দোয়া পাঠ করে যা চাইবেন ১০০% তাই পাবেন ইনশাআল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদেরকে এমন একটি আমল শিখিয়ে দেবো যে আমলটি আপনারা নিয়মিত ভাবে করলে প্রতিদিন করলে প্রত্যেকটা সময় করলে আপনারা যে দোয়াটাই করবেন আল্লাহতালা সেই দোয়াটাই কবুল করবে। আপনার দোয়া করতে দেরি হবে কিন্তু আল্লাহতালা কবুল করতে দেরি করবেন না। প্রিয় বন্ধুরা আজকের আমলটি খুব স্পেশাল একটি আমল এবং এই আমল নিয়মিত করার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি মুস্তাজাবুদ দাওয়া হতে পারে। আর মুস্তাজাবুদ দাওয়া সেই ব্যক্তিকেই বলা হয় যে ব্যক্তি দোয়া করা দেরি হয় কিন্তু আল্লাহ তাআলা তার দোয়া কবুল করতে দেরি করেন না। মানে সে দোয়া করা মাত্রই আল্লাহ তাআলা তার দোয়া কবুল করেন। প্রিয় বন্ধুগণ আপনারা যদি মুস্তাজাবুদ দাওয়া হতে চান তাহলে আপনাদেরকে সব সময় সর্বক্ষণে ইস্তিগফার পাঠ করতে হবে। যে ব্যক্তি ইস্তিগফারের সঙ্গে লেগে থাকবে আঠার মতো লেগে থাকবে সব সময় এস্তিগফার পাঠ করবে সেই ব্যক্তি মুস্তাজাবুদ দাওয়া হয়ে যাবে আর সেই ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ তা’আলা অবশ্যই অবশ্যই কবুল করবেন।
![]() |
দোয়া কবুল |
প্রিয় বন্ধুরা সে ব্যক্তি যাই চাকনা কেন যে জিনিসটা চাবে আল্লাহ তায়ালা তাকে সেই জিনিসটাই দান করবেন। প্রিয় বন্ধুগন আপনাদের কে মুস্তাজাবুদ দাওয়া এক যুবকের ছোট্ট একটি গল্প ছোট্ট একটি ঘটনা শোনাবো আমি আশা করি ঘটনাটি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে এবং এখান থেকে আপনারা অনেক কিছু শিখতে পারবেন। প্রিয় বন্ধুরা হযরত ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ:) এর জমানায় সেই জমানায় তিনি অনেক বড় আলেম একজন প্রখ্যাত প্রসিদ্ধ আলেম ছিলেন এবং তিনি অনেক বড় একজন আল্লাহর ওলী ছিলেন। তো এই বুজুর্গ তিনি হাদীস সংগ্রহের কাজে দেশ-বিদেশে সফর করতেন বিভিন্ন জায়গায় দেশ থেকে দেশান্তরে গিয়ে তিনি হাদীস সংগ্রহ করতেন। তিনি একদিন হাদীস সংগ্রহের কাজে তার ঘর থেকে বাহির হয়ে তিনি রওনা করলেন পথিমধ্যে তিনি একটি মসজিদে এশার নামাজ পড়লেন এশার নামাজ আদায় করার পরে তো বাইরে ছিল প্রচন্ড ঠান্ডা কনকনে শীতের দিন শীতের রাত। তো তিনি চিন্তা করলেন যে আমি মসজিদে রাতটা পার করেই সকাল বেলা আমি আবার আমার কাজে রওনা হয়ে যাব। তো তিনি এশার নামাজের পরে তার ব্যাগ থেকে কাঁথা বাহির করে সুবার জন্য বন্দোবস্ত করতে লাগলেন এমতাবস্থায় সেই মসজিদের খাদেম এসে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ:) কে নিসেধ করলেন তিনি বললেন যে এখানে ঘুমানো যাবে না মসজিদে ঘুমানো যাবে না তিনি কিন্তু ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ:) কে চিনতেননা এজন্য তিনি সেখানে তাকে থাকতে দেননি।
তো আল্লার অলি মসজিদ থেকে বাহির হয়ে আবার সামনের দিকে অগ্রসর হতে লাগলেন এবং কোথায় রাতটা যাপন করা যায় এটা ভাবতে ভাবতে দেখলেন যে একজন রুটিওয়ালা যুবক একটা চুলার মধ্যে সে রুটি ভাজতেছে তো আল্লার অলি চিন্তা করলেন যে এই যুবকের কাছে তার চুলার সামনে যদি আমি রাতটা কাটিয়ে দেই সেখানে বসে বসে তাহলে সে রুটি ভাজতেছে চুলার মধ্যে সেখান থেকে আমি কিছু উষ্ণতা অনুভব করব সেখানে আমার একটু শরীরটা গরম থাকবে এবং আমার রাতটা অনেক ভালো কাটবে। তিনি সেই যুবকের কাছে গেলেন যাওয়ার পরে সালাম দিলেন আসসালামুয়ালিকুম রহমাতুল্লাহ সালাম গ্রহণ করল ওয়ালাইকুমুসসালাম রাহমাতুল্লাহ তো আল্লাহর অলি বললেন যে বাবা আমি তো একজন মুসাফির আমি তো একজন পথিক তো আমার রাত্রে থাকার জায়গা নাই তুমি যদি অনুমতি দাও তাহলে তোমার চুলার সামনে আমি একটু বসে রাতটা কাটিয়ে দিতে চাই তো যুবক হেসে হেসে বলল যে এটা তো আমার খোশ নছীব যে আপনি আমার চুলার সামনে বসে রাত কাটাতে চান একজন মুসাফির মানুষ। তো সেই যুবক আহলান সাহলান বলে এই আল্লাহর অলি কে ওখানে বসার জন্য ওখানে অবস্থান করার জন্য সম্মতি দিলেন। ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ:) তার চুলার সামনে বসে বসে তার কর্মকান্ড গুলো দেখতেছিলেন। তো সে যে চুলের মধ্যে রুটি ভাজতেছে রুটির খাম্বির যখন সে দলতেছে তখনও সে আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠ করতেছে আবার যখন ভাজতেছে তখন আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠ করতাছে ইস্তিগফার পাঠ করতেছে আবার যখন রুটি উঠাচ্ছেন তখনও শে আস্তাগফিরুল্লাহ পাট করতেছে যখন সে কাস্টমারের কাছে তার রুটি বিক্রি করতেছে তখনও সে আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠ করতেছে আবার যখন কাস্টমার এর কাছ থেকে মূল্য বিনিময় গ্রহণ করতেছে তখনও সে আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠ করতেছে তো সবসময় সে আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠ করতেছিল ইস্তিগফার পাঠ করতেছিলো তখন আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ:) ওই যুবককে জিজ্ঞাসা করলো যে বাবা তুমি তো সব সময় ইস্তিগফার পাঠ করতেছ, কেন তুমি এভাবে সব সময় ইস্তিগফার পাঠ করতেছো? তো সেই যুবক উত্তর দিলো যি হুজুর এই ইস্তিগফার সব সময় পাঠ করার কারণে আল্লাহ তাআলা আমাকে মুস্তাজাবুদ দাওয়া হিসেবে কবুল করে নিয়েছেন। আমি যখনই কোন দোয়া করি আল্লাহতালা সাথে সাথে আমার দোয়া কবুল করেনেন। আমার জিন্দেগীতে আমি যতগুলো দোয়া করেছি আল্লাহতালা আমার সমস্ত দোয়া কবুল করে নিয়েছেন তবে শুধু একটা দোয়া আল্লাহ কবুল করেননি তো আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ:) অবাক হয়ে গেল! তিনি বলল যে বাবা তুমি সত্যি মুস্তাজাবুদ দাওয়া? আচ্ছা তোমার কোন দোয়াটা কবুল হয় নাই সেটা আমাকে একটু বলতো আসলে এই আল্লাহর অলির তখনই আগ্রহটা বেড়ে গেল ওই যুবক সম্পর্কে যখন তিনি জানতে পারলেন যে হচ্ছে মুস্তাজাবুদ দাওয়া।
তখন সেই যুবক আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ:) কে বলল যে হুজুর আমার যে দোয়াটি আল্লাহতালা কবুল করেনি এখন পর্যন্ত সেই দুয়াটি হল এই যুগশ্রেষ্ঠ আলেম হযরত আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ:) আমি তার সাক্ষাৎ পেতে চাই তার দেখা পেতে চাই তার হাতে হাত রেখে মুসাফাহা করতে চাই এবং তার কাছ থেকেই আমি দোয়া পেতে চাই এবং তার দোয়া নিয়ে আমি মৃত্যুবরণ করতে চাই। কিন্তু হুজুর এখনো পর্যন্ত আমি আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ:) এর দেখা পাইনি সাক্ষাৎ পাইনি তার সঙ্গে মুসাফাহা করতে পারিনি এই দোয়াটি আল্লাহতালা আমার কবুল করেননি। তখন ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি বললো বাবা তোমার জীবনের যতগুলো দোয়া আল্লাহ সবগুলো কবুল করেছেন আর তুমি যে আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ:) এর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলে তার হাতে হাত রেখে মুসাফাহা করতে চেয়েছিলে তার কাছ থেকে দোয়া চাওয়ার প্রত্যাশা করেছিলে সেটার জন্য আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ:) এর দরবারে তোমাকে যেতে হয় নাই আল্লাহতালা আহমদ ইবনে হাম্বল কে তোমার সামনে এনে দাঁড় করিয়েছে আমি আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ:)।
প্রিয় বন্ধুগণ এই ঘটনা থেকে আমরা কি বুঝলাম এই ঘটনা থেকে আমরা বুঝলাম যে আসলেই ইস্তিগফারের আমল নিয়মিতভাবে করলে সব সময়ের জন্য হার হালতে ইস্তিগফার পাঠ করলে আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন মুস্তাজাবুদ দাওয়া হিসেবে কবুল করেনেন এবং সেই ব্যক্তির সমস্ত দোয়া আল্লাহ তালা কবুল করেনেন।
তো প্রিয় বন্ধুরা এর জন্য আপনারা সবসময় ইস্তিগফারের আমল করবেন বেশি বেশি ইস্তিগফার পাঠ করবেন। আল্লাহ তাআলা চাইলে আপনাকে মুস্তাজাবুদ দাওয়া হিসেবে কবুল করতে পারেন আর তখন আপনি যে দোয়া করবেন যে জিনিসটাই চাইবেন আল্লাহতালা আপনাকে সেই জিনিসটাই দান করবেন ইনশাআল্লাহ। আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিন আপনাকে আমাকে আমাদের সকলকেই বেশি বেশি ইস্তিগফার পাঠ করার তৌফিক দান করুন এবং আমাদের সকলকে মুস্তাজাবুদ দাওয়া হিসেবে কবুল করুন আল্লাহুম্মা আমীন।