তাজ্জব হয়ে গেলাম !
তাজ্জব আমারা প্রাই হই নতুন কিছু দেখলে বা শুনলে। অথবা নিজের জীবনের সাথে কোন আশ্চর্য কিছু ঘটলে। সচরাচর আমাদের জীবনে এরকম কিছু ঘটে।
তাজ্জব হওয়ার মত ঘটনা আমার জীবনেও অনেক ঘটে। এটি এরকম একটি ঘটনা। আপনারা হয়তো তাজ্জব নাও হতে পারেন। তবে এই ঘটনাটি পড়লে ইনশা আল্লাহ কিছু শিখবেন।
মাদরাসায় পড়ছিলাম সামনে পরীক্ষা। আমার এক বন্ধু আমার কাছে আসলো। আমাকে বললো চলেন গেটের বাইরে। আমি বললাম,বলেন কি বলবেন? বাইরে আবার কেন যেতে হবে?
তার একই কথা। না, বাইরে চলেন তারপর বলবো।আমি চিন্তায় পড়ে গেলাম। মনের মধ্যে নানারকম চিন্তা আসতে শুরু করলো। কি এমন বলবে যার কারণে বাইরে যেতে হবে। ইশার সময় ছিলো। আযান হয়ে গেছে। আমি তাকে বললাম অপেক্ষা করেন আমি যরুরত সেরে আসি।
যরুরত সেরে তার সাথে রওনা হলাম। গেটের বাইরে গেলাম। তাকে অনুসরণ করে হেঁটে চলছি। আর মনের মধ্যে নানারকম শঙ্কা জেগে উঠছে। সে একটি দোকানে প্রবেশ করলো। আমাকে বললো,বসেন।আমি বসলাম। সে একটি কেক এনে দিল। আমি তো তাজ্জব হয়ে গেলাম। হঠাৎ তার আবার আমাকে খাওয়ানোর ইচ্ছা জাগলো। কোনদিন খাওয়াইনি।আজকে হঠাৎ।
অতঃপর কেক খেলাম চা পান করলাম।
তারপর অযু করে মসজিদে গেলাম। মনের শঙ্কা দূর হলো। আমি খুব অবাক হলাম। রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“নিশ্চয় রিযিক বান্দাকে তালাশ করে যেমন মৃত্যু তাকে তালাশ করে।”
আমার রিযিক পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক তা আমার কাছে এসে হাজির হবে। আমার বন্ধুর কাছে আমার রিযিক বরাদ্দ ছিল। আল্লাহ তার মনে আমাকে খাওয়ানোর ইচ্ছা জাগিয়েছেন। তাই সে আমাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খাওয়ালো।
তারপর অযু করে মসজিদে গেলাম। মনের শঙ্কা দূর হলো। আমি খুব অবাক হলাম। রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“নিশ্চয় রিযিক বান্দাকে তালাশ করে যেমন মৃত্যু তাকে তালাশ করে।”
আমার রিযিক পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক তা আমার কাছে এসে হাজির হবে। আমার বন্ধুর কাছে আমার রিযিক বরাদ্দ ছিল। আল্লাহ তার মনে আমাকে খাওয়ানোর ইচ্ছা জাগিয়েছেন। তাই সে আমাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খাওয়ালো।
আমিও মাঝে মাঝে মাদরাসায় খাবার নিয়ে যায় নিজে খাওয়ার জন্য। অথচ অনেক সময় সেই খাবার আমার বন্ধুকে দিই। তো এভাবেই আল্লাহ বিভিন্নজনের কাছে আমাদের রিযিক রেখেছেন।আমরা তার কাছে গিয়ে সেই খাবার খেয়ে আসি।
কিছু মানুষ অর্থোপার্জনের চিন্তায় আল্লাহর হুকুমকে নষ্ট করছে।ফলে সে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।পরকালে তাকে শাস্তি পেতে হবে। অনেকে হালাল হারাম বাছ-বিচার করেনা। রিযিক কে কতটুকু পাবে তা লেখা হয়ে গেছে। বান্দা যতই চেষ্টা করুক আল্লাহ না দিলে হবেনা। বরং দোয়া -ইবাদতের মাধ্যমে রিযিক বাড়ে।
তাই একজন মুসলিমের উচিত সে আল্লাহর হুকুম মত রিযিক অন্বেষণ করবে। হালাল-হারাম বেছে চলবে। তাহলে তার রিযিক অন্বেষণ করাটাও ইবাদত বলে গণ্য হবে। আল্লাহ আমাদের তাওফীক দান করুন আমীন।