জ্বীন ধরা একটি মেয়ে, জ্বীন থেকে বাঁচতে করণীয়।

জ্বীন পৃথিবীতে আছে তা কোরআন আমাদের জানিয়ে দিয়েছে। শয়তান জ্বীনদের থেকে জ্বীনের অস্তিত্বের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা ঈমানের একটি অংশ। যদি কেউ জ্বীনের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে। জ্বীনকে আল্লাহ মানুষের শিরা উপশিরায় চলার ক্ষমতা দিয়েছেন।

জ্বীনদের মধ্যে একটি জাত আছে যাদের পরী বলে। এরা মানুষের সাথে যৌনমিলন করতে পছন্দ করে। জ্বীন বিভিন্ন ধরণের আকৃতি ধারণ করতে পারে। জ্বীন আগুনের তৈরী।

জ্বীন
জ্বীন


জ্বীনদের মধ্যে মুসলিম ও আছে অমুসলিম ও আছে। জ্বীনদের মধ্যে ভালোও আছে খারাপ ও আছে।খারাপ জ্বীনগুলো প্রচুর বদমাশ। এরা মানুষকে খুব জ্বালায় এবং গায়ে ভর করে উল্টা পাল্টা আচরণ করায়।

জ্বীন ভর করা একটি মেয়ে দেখেছিলাম। ঢাকা সফরে গিয়েছিলাম। একবার বাইতুল মোকাররম মসজিদের পাশে গিয়েছিলাম। আমি জানতাম না যে সেখানে বাইতুল মোকাররম অবস্থিত। ইশার নামাযের সময় হলে চাচাতো ভাইকে বললাম নামায পড়তে হবে। মসজিদ আশেপাশে কোথায় আছে? চাচাতো ভাই বললো কাছেই বাইতুল মোকাররম। আমি খুব অবাক হলাম।

বইয়ের পাতায় পড়েছি আর ছবি দেখেছি। সামনে থেকে কখনো দেখিনি। খুব আনন্দ অনুভব করলাম। যাক একটা মনের আশা পূরণ হলো। বাইতুল মোকাররম মসজিদে গেলাম। অযু করে নামায আদায় করলাম। আল্লাহু আকবার লেখাটা খুব ভালভাবে দেখলাম।

বের হয়ে আসার পথে ছাদহীন জায়াগাটাতে দাঁড়ালাম। আসমানের দিকে তাকালাম। আসমানে তারাগুলো মিটিমিটি জ্বলছে। আর অনুভব করলাম সাত আসমানের উপরে আরশ থেকে আমার প্রভু আমাকে দেখছেন। তারাগুলো আসমানের সৌন্দর্যকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

গেটের বাইরে বের হয়েই দেখতে পেলাম একটি কালো বোর্কা পরা মেয়ে,তার সাথে তাকে ধরে রয়েছে একটি বোর্কা ছাড়া মেয়ে, আর একটা ছেলে তাদের সাথে আছে বোতলে পানি নিয়ে।

মেয়েটা একটা ভিন্ন স্বরে বলছে ছাড় আমাকে। আমি মসজিদের ভিতরে যাব। ছেড়ে দে বলছি ছাড় আমাকে কেন ধরে রেখেছিস ছাড় বলছি।

পাশের মেয়েটা তাকে শক্ত করে ধরে আছে। আমি দেখেই বুঝে ফেললাম জ্বীন আছর করেছে। ছেলেটা আমাকে জিজ্ঞেস করলো মসজিদের হুযুর কোথায়। আমি নতুন মানুষ। কিছুই চিনিনা ফলে আমার অপারগতার কথা তাকে বললাম। জ্বীন আছর করা মেয়েটাকে দেখে আমার  দুঃখ অনুভত হলো। বেচারা মেয়েটাকে জ্বীন খুব কষ্ট দিচ্ছে।

অতঃপর আমি আর আমার চাচাতো ভাই চলে আসলাম কিছুই করতে পারলাম না। জ্বীনের আছর থেকে বাঁচতে এবং বিভিন্ন ধরণের বিপদ থেকে বেঁচে থাকার জন্য কিছু আমল আছে। এগুলো করলে ইনশা আল্লাহ বিপদ থেকে আল্লাহ হেফাযত করবেন।

প্রতি ওয়াক্তের নামাযের পর আয়াতুল কুরসী একবার পড়বেন। ঘুমাতে যাওয়ার আগেও একবার পড়বেন পড়ে ঘুমাবেন।

যদি কোথাও সফরে যান তখন বাড়ি থেকে বের হয়ে বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ পড়ে আয়াতুল কুরসী পড়বেন। এবং যানবাহনে উঠেও পড়বেন। আল্লাহ সড়ক দুর্ঘটনা থেকে হিফাযত করবেন।

ফজর এবং মাগরীবের পর  এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে তিনবার করে সূরা ইখলাস,সূরা ফালাক এবং সূরা নাস পড়ে দুই হাত মুখের সামনে এনে ফু দিয়ে সমস্ত শরীর মাসাহ করবেন যতদূর সম্ভব। এভাবে ফু দিয়ে তিনবার করবেন। সূরা গুলো আর পড়তে হবেনা। আল্লাহ সর্ব প্রকার বিপদ আপদ থেকে হিফাযত করবেন।

Add a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *