করোনা ভাইরাস রুখে দিতে নিমপাতা – নিমপাতা যেসব রোগ দ্রুত সারায়
ঈদের আনন্দে কেটে গেল বেশ কিছু দিন। অবশ্য আনন্দ অনেকের কাছেই কিছুটা বেশি হয়ে গেছে। মহামারী করোনার ভয় অনেকের মধ্যে ছিলোনা। আর এই অবহেলার কারণে ঈদের পরে করোনভাইরাস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়তে পারে।
এই মুহুর্তে বিশ্বের মানুষের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো করোনার ভাইরাস মোকাবেলা করা। দিন যত যাচ্ছে আমরা করোনার সাথে জীবনযাপনের নতুন জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি।
তবে সেই প্রাচীন ওষুধ প্রকৃতির আশীর্বাদ নিমপাতা এই নতুন জিনিসগুলিতে যুক্ত হচ্ছে। নিম পাতার স্বাদ মারাত্মক তেতো তবে সকলেই জানেন যে এর গুণমানটি অসাধারণ।
এই করোনায় কীভাবে সুরক্ষকের ভূমিকা পালন করবেন, আসুন জেনে নেওয়া যাক:
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে কোনও সংক্রমণ থেকে দূরে রাখতে পারে নিম পাতা, কেবল শুধু করোনাকে নয়। এর জন্য, এমন খাদ্য তালিকা তৈরি করা প্রয়োজন যা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। নিমপাতা এই তালিকায় প্রথমে রাখবেন।
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে যদি আপনি নিমপাতা কুচি করে এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে পান করেন।
২. এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক হিসাবে কাজ করে।
৩. অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামাটরি হয়ার জন্য লিভারকে পরিষ্কার করে এবং হজম শক্তি অনেকটা ভালো থাকে।
৪. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে নিম পাতার রস খেলে।
৫. করোনা আক্রান্ত রোগীর রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকে।
৬. দাঁতের সমস্যা এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে নিম ডাল দিয়ে দাঁত মাজুন।
৭. শরীরের কোথাও কেটে গেলে ক্ষতস্থানে নিমপাতা বাটা লাগালে যাদুর মতো কাজ করে।
৮. পেটের সমস্যা হলেও আপনি নিমপাতা খেতে পারেন এতে উপকার পাবেন।
৯. অনেক সময় দেখা যায় ত্বকে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়। এজন্য কাঁচা হলুদ বাটার সঙ্গে নিমপাতা বাটা মিশিয়ে ব্যবহার করুন ভালো ফল পাবেন।
১০. চোখ লাল হয়ে গেলে বা চোখ জ্বালা করলে নিমপাতা পানিতে সিদ্ধ করুন পরে পানি ঠান্ডা হলে, ওই পানি দিয়ে চোখ ধুলে উপকার পাবেন।
১১. মুখে কালো ছোপ বা ব্রণ থাকলে নিমপাতা বাটা লাগিয়ে নিন উপকার পাবেন।
১২. মাথায় খুশকির সমস্যা থাকলে নিমপাতা পানিতে সিদ্ধ করুন এবং পানির রং যখন সবুজ হবে তখন নামিয়ে ঠান্ডা করুন। শ্যাম্পু করার পরে ঐ পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন অনেকটা কাজ হবে।
১৩. খাঁটি মধুর মধ্যে নিম পাতার রস মেশান। কানের ভিতর চুলকানি বা ইনফেকশন হলে এই মিশ্রণের দু-চার ফোঁটা কানের ভিতরে লাগান অনেক উপকার পাবেন।
আপনি প্রতিদিন একটি নিম পাতা ধুয়ে পরিষ্কার করে চুইংগামের মতো চিবিয়ে খেতে পারেন। প্রথমে কিছুদিন একটু খারাপ লাগবে পরে এটি অভ্যাসে পরিণত হবে। তবে গর্ভবতী মহিলাদের ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নিম খাওয়া উচিত নয়।
সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।