এতেকাফ-এতেকাফের বর্ননা, তাৎপর্য ও প্রকারভেদ।
![]() |
Image Credits: Pexels |
রমযানের বিশ তারিখে সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পূর্ব হতে ঈদের আগের দিনের সূর্যাস্ত পর্যন্ত পুরুষদের মসজিদে এবং স্ত্রীলোকদের তাদের ঘরের নর্দিষ্ট স্থানে রোযার সহিত অবস্থান করাকে এ’তেকাফ বলে। রমযানের শেষ দিন এ’তেকাফ করা সুন্নতে মোয়াক্কাদায়ে কেফায়া। অর্থাৎ- দুএকজনে এ’তেকাফ করলেই এলাকার সকলে দায়িত্ব মুক্ত হয়ে যাবে এবং কেউ না করলে সবাই গুনাহ গার হবে। কারণ, ছহীহ হাদীসে উল্লেখ রয়েছে যে, হুযুর (স) সর্বদা রমযানের শেষ দশদিন এতেকাফ করতেন।
এতেকাফ তিন প্রকার
১। ওয়াজিব, ২। সুন্নাত (মোয়াক্কাদাহ), ৩। নফল।
ওয়াজিব এ’তেকাফঃ মানতের এ’তেকাফ ওয়াজিব। চাই সেটা শর্তের সাথে হোক বা বিনা শর্তে হোক। এ এ’তেকাফ রমজান মাসে বা অন্য কোন মাসেও আদায় করতে পারে। ওয়াজিব এ’তেকাফের জন্য রোযা শর্ত। অর্থাৎ, ওয়াজিব এ’তেকাফের সময় রোযা রাখতে হবে।
সুন্নাত এ’তেকাফঃ রমজানের শেষদশ দিন এ’তেকাফ করা সুন্নাতে মোয়াক্কাদাহ। এই সুন্নাত কেউ কেউ আদায় করলে সকলেই দায়িত্ব মুক্ত হবে অন্যথায় সকলেই সুন্নাত তরকের গুনায় লিপ্ত হবে। (রমজানের প্রথম থেকে বিশ তারিখ পর্যন্ত এ’তেকাফ করা মোস্তাহাব।)।
নফল এ’তেকাফঃ মানত ছাড়া রমজান ব্যতীত অন্য যে কোন সময় এ’তেকাফ করা নফল।
(১) পুরুষের জন্য এমন মসজিদ হওয়া উচিত যেখানে জামায়াতের ব্যবস্থা আছে। আর স্ত্রীলোকদের জন্য ঘরের একটি নির্দিষ্ট স্থান হওয়া উচিত।
(২) এ’তেকাফের নিয়ত থাকতে হবে।
(৩) জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি হতে হবে।
(৪) এ’তেকাফকারী পেশাব, পায়খানা, ফরয গোসল ইত্যাদি ব্যতীত অন্য কোন প্রয়োজনে মসজিদের বাইরে যেতে পারবে না
(৬) মসজিদে জুমার নামাযের ব্যবস্থা থাকলে অন্যত্র জুমা পড়বার জন্য যেতে পরবে না।
(৭) অযু ও পায়খানা- প্রস্রাবের প্রয়োজন ব্যতীত বাইরে যেতে পারবে না। তবে অযুর সহিত অল্প সময়ের তিতর গোসল সারতে পারলে কোন অসুবিধা নেই।
(কাওলে থানবী)