ঈদুল ফিতরের নামাযের নিয়ম ও নিয়ত-ঈদগাহে যাওয়ার পথে দোয়া
![]() |
Image Credits: Pexels |
রমজানের পর শাওয়াল মাসের প্রথম তারিখ হলো, ঈদুল ফিতরের দিন। দীর্ঘ এক মাস রোযা রাখার পর যে আল্লাহ আমাদের অন্তরের কালিমা দূর করে দিয়েছেন, সে আল্লাহর দরবারে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবার জন্য তিনি আমাদের জন্য এ দিনটি খুশীর দিন হিসেবে নির্ধারন করেছেন। অতএব, এ দিনে অতি প্রত্যুষে ঘুম হতে উঠে মিছওয়াক করতঃ অযু গোসল সেরে যথা সম্ভব উত্তম পোষাক পরিধান করবে। তারপর গরীব-মিসকীন কে ফিৎরা দান করে ফযরের নামাযের পরই পাঁয়ে হেঁটে ঈদগাহে যাবে। অতঃপর ঈমামের সহিত দু’রাকয়াত নামায পড়ে ঈদগাহে যাওয়ার রাস্তা বাদ দিয়ে অন্য এক রাস্তায় বাড়ীতে ফিরে আসবে।
তবে এ দিনে সকালে মিষ্টি দ্রব্য ভক্ষণ করা সুন্নাত এবং ঈদগাহে যাওয়ার সময় নিম্নের দোয়াটি আস্তে আস্তে পড়া সুন্নাত।
ঈদগাহে যাওয়ার পথে দোয়া
اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إلَهَ إلَّا اللَّهُ. وَاَللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ.
উচ্চারণঃ আল্লাহ আকবার আল্লাহু আকবার লা-ইলহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহ আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল কামদ।
ঈদুল ফিতরের নামাযের নিয়ম ও নিয়ত
ঈদুল ফিতরের নামায মোট দু’রাকয়াত এবং এটা ওয়াজিব। প্রথমে কেবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে নিয়ত করবে।
نَوَايْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّّهِ تَعَالَى رَكْعَتَىْ صَلَوةِ الْعِيْدِ الْفِطْرِ مَعَ سِتَّةِ تَكْبِرَاتِ وَاجِبُ اللَّهِ تَعَالَى اِِقْتَدَيْتُ بِهَذَا اْلاِمَامِ مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
উচ্চাররণঃ নাওয়াইতু আনউছাল্লিয়া লিল্লাহে তায়ালা রাকয়াতাই ছালাতিল ঈদুল ফিতরি, মা’আ ছিত্তাতে তাকবীরাতে ওয়াজিবুল্লাহি তায়ালা ইকতাদাইতু বিহাজাল ইমামে,মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা নিয়তঃ আমি কেবলামুখী হয়ে আল্লাহর উদ্দেশ্যে ও এ ঈমামের পিছনে ছয় তাকবীরের সহিত দু’রাকয়াত ঈদুল ফিতরের ওয়াজিব নামাযের নিয়ত করলাম।
এ নামায পড়ার নিয়মঃ নিয়ত করা শেষ হলে আল্লাহু আকবার বলে হাত বাঁধবে এবং ছুবহানাকা আল্লাহুম্মা পড়ে পর পর তিনবার আল্লাহু আকবার বলে হাত উঠাবে। প্রথম দু’বার কান পর্যন্ত হাত উঠায়ে হাত না বেঁধে ছেড়ে দেবে, কিন্তু তৃতীয় বার ছারবে না বরং বেঁধে রাখবে। অতঃপর ঈমাম আউজুবিল্লাহ, বিসমিল্লাহ পড়ে সূরা ফাতিহার সহিত অন্য একটি সূরা পড়বেন। অবশ্য মুক্তাদীদের জন্য এ সমস্ত সূরা- কিরাত পড়া লাগবে না। সুরা পড়া শেষ হলে যথারীতি রুকু- সিজদা করে দ্বিতীয় রাকয়াতের জন্য দঁড়াবে। দ্বিতীয় রাকয়াতের সূরা-ক্বেরাত শেষ হলে পুনরায় তিনটি তাকবীর বলবে এবং হাত না বেঁধেই চতুর্থ তাকবীর বলে রুকুতে যাবে এবং যথারীতি নামায শেষ করবে।
নামায শেষ হওয়ার পর ঈমাম সাহেব দুটি খূতবা দেবেন এবং দু’খুতবার মাঝখানে কিছুক্ষণ বসবেন। এ খুতবা শুনা সবার জন্য ওয়াজিব। অতএব, কোনরূপ বাক্য বিনিময় না করে চুপ খেকে খুতবা শূনবে। খুতবা পড়া শেষ হলে ইমাম সাহেব মুসল্লীগণকে নিয়ে দোয়া করবেন।
দ্রষ্টব্যঃ ফিতরা সম্পর্কে রোযার বিবরণ অংশে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। লিংক