ই-কমার্স কী? ই-কমার্সের সুবিধাগুলো দেখুন।
ই-কমার্স (E-cornmerce) : ইলেকট্রনিক কমার্স কে সংক্ষেপে ই-কমার্স Ecommerce বলা হয়। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদনকারী কিংবা বিক্রেতা তাদের পণ্যের ব্যবহার, গুণাগুণ, বৈশিষ্ট দাম, মডেল ইত্যাদি যাবতীয় তথ্য বিজ্ঞাপন আকারে তাদের ওয়েব পেজে প্রদর্শন করে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবহারকারিগণ ইন্টারনেটের কল্যাণে উক্ত পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখে থাকেন এবং তাদের নিজ নিজ পছন্দমতো পণ্য নির্বাচন করে ওয়েব পেজের অর্ডার ফরমটি পূরণ করে বিক্রেতার নিকট প্রেরণ করেন। অবশ্য ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ক্রেতাকে উক্ত পণ্যের মূল্যও পরিশোধ করতে হয়। আর বিক্রেতা তার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় উক্ত পণ্যটি ক্রেতার নিকট পৌঁছে দেন। ইন্টারনেটভিত্তিক এরূপ ক্রয়কে বলা হয় অন-লাইন শপিং এবং ইন্টারনেটভিত্তিক এই সামগ্রিক বিক্রয় ব্যবস্থাপনাকে বলা হয় ই-কমার্স (E-commerce)।
ই-কমার্সের সুবিধা (Advantages of E-Commerce) : ই-কমার্স-এর দ্বারা ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই লাভবান হয়ে থাকে। নিচে ই-কমার্স ব্যবহারের সুবিধাসমূহ তুলে ধরা হলো-
১. আর্থিক লেনদেন : ইলেকট্রনিক লেনদেনের খরচ প্রচলিত লেনদেনের খরচের চেয়ে অনেক কম হয়। অতিরিক্ত লোকবলের প্রয়োজন হয়।
২. ব্যবসা পরিচালনা : ওয়েব সাইট ই-মেইলের মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তি ব্যবসা অফিস থেকে শুরু করলে চলন্ত ট্রেন, বিমানে বাসে বা
বিশ্বের যেকোনো অবস্থান থেকে ব্যবসায়-বাণিজ্য পরিচালনা করতে পারে। এতে সরাসরি ব্যবসা অফিসে যাওয়ার খরচ কমছে।
৩. আর্থিক লেনদেনের গতিশীলতা : ই-কমার্স দ্রুতগতিতে লেনদেনের সুযোগ সৃষ্টি করে। কম্পিউটারের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার করতে পারে। বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকেই মুহূর্তের মধ্যেই যেকোনো ব্যাংকের সাথে লেনদেন করতে পারে।
৪. কেনাকাটা : ইন্টারনেট থেকে কেনাকাটার জন্য বিভিন্ন আইটেমের ওয়েব সাইটের ঠিকানা থেকে পছন্দনীয় যেকোনো পণ্য সামগ্রী বাসায় বসে অর্ডার দিয়ে কেনা সম্ভব। এতে যাতায়াত খরচ ও সময় দুই-ই বাঁচে এবং রাস্তায় দুর্ঘটনা যানজটের মতো বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয় না।
৫. প্রতিযোগিতা : ওয়েব সাইটের সুবাদে কম মূল্যে উন্নত এবং দ্রুত সেবা প্রদানের কারণে ব্যবসায় প্রতিষ্টানের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়তে থাকে।
৬. তাৎক্ষণিক অর্ডার : জিনিস পছন্দ করে তাৎক্ষণিক অর্ডার দিয়ে মূল্য পরিশোধ করে জিনিসটি কিনতে পারে।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় যে, তথ্য আদান প্রদান ব্যবস্থা এতই দ্রুত এবং উন্নত হয়েছে যে কম্পিউটারের কল্যাণে ঘরে বসেই ব্যবসা-বাণিজ্য করা সম্ভব।