অযু বা গোসলের দ্বারা শরীর পবিত্র করা।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন: হে ঈমানদার গণ! তোমরা যখন নামাযে দাঁড়ানোর ইচ্ছা কর তখন তোমাদের চেহারা ও কনুই পর্যন্ত হাত ধৌত করো, মাথা মাসেহ করো এবং টাখনু পর্যন্ত পা ধৌত করো। আর তোমরা যদি জুনুবী হও অর্থাৎ গোসলের প্রয়োজন হয় তাহলে খুব ভালো করে পবিত্রতা অর্জন করো (সুরা মায়েদা: ৬)।
হযরত আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ স. ইরশাদ করেন: যে ব্যক্তির অযু ভেঙ্গে যাবে অযু না করলে তার নামায কবুল হবে না। (বুখারী:১৩৭) শাব্দিক কিছু তারতম্যসহ এ হাদিসটি মুসলিম, আবু দাউদ এবং তিরমিযী শরীফেও বর্ণিত হয়েছ। (জামেউল উসুল-৫২১৮)
সারসংক্ষেপ : উপরোক্ত আয়াত ও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, নামাযে দাঁড়ানোর পুর্বে ছোট-বড় সব ধরণের অপবিত্রতা থেকে পবিত্র হওয়া জরুরী।
হযরত আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ স. ইরশাদ করেন: যে ব্যক্তির অযু ভেঙ্গে যাবে অযু না করলে তার নামায কবুল হবে না। (বুখারী:১৩৭) শাব্দিক কিছু তারতম্যসহ এ হাদিসটি মুসলিম, আবু দাউদ এবং তিরমিযী শরীফেও বর্ণিত হয়েছ। (জামেউল উসুল-৫২১৮)
সারসংক্ষেপ : উপরোক্ত আয়াত ও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, নামাযে দাঁড়ানোর পুর্বে ছোট-বড় সব ধরণের অপবিত্রতা থেকে পবিত্র হওয়া জরুরী।
![]() |
শরীর পবিত্র |
শরীরের কোথাও নাপাক লেগে থকলে তা পবিত্র করা
হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমার রা. বলেন, আমি রসুল স. থেকে শুনেছি যে, পবিত্রতা ব্যতীত নামায কবুল হয় না। (মুসলিম-৪২৮) শাব্দিক কিছু তারতম্যসহ এ হাদীসটি তিরমিযী শরীফেও বর্ণিত হয়েছে। (তিরমিযী-১)
সারসংক্ষেপ : এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, পবিত্রতা ব্যতীত আল্লাহ তাআলা নামায কবুল করেন না। শরীর পাক, কাপড় পাক ও নামাযের জায়গা পাকসহ সব ধরণের পবিত্রতার জন্যই এ হাদীসটি দলীল হিসেবে স্বীকৃতি।
সারসংক্ষেপ : এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, পবিত্রতা ব্যতীত আল্লাহ তাআলা নামায কবুল করেন না। শরীর পাক, কাপড় পাক ও নামাযের জায়গা পাকসহ সব ধরণের পবিত্রতার জন্যই এ হাদীসটি দলীল হিসেবে স্বীকৃতি।
কাপড়ে নাপাক লেগে থকলে তা পবিত্র করা
হযরত সাহল বিন হুনাইফ রা. বলেন, হে আল্লাহর রসূল! আমার কাপড়ে মাজী লেগে গেলে কি করতে হবে? তিনি বললেন, এক অঞ্জলি পানি নিবে এবং যেখানে লেগেছে বলে মনে করো সেখানে ধুয়ে ফেলবে। (আবু দাউদ-২১০) শাব্দিক কিছু তারতম্য এ হাদীসটি তিরমিযী -১১৫ এবং ইবনে মাযা শরীফেও বর্ণিত হয়েছে।
হাদীসের স্তর : সহীহ। ইমাম তিরমিযী রহ. এ হাদীসটিকে হাসান-সহীহ বলেছেন।
হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি রসূলুল্লাহ সা.-এর কাপড় থেকে বীর্য ধুয়ে ফেলতেন; আর রসূল স. কাপড়ে ভেজা চিহ্ন নিয়ে নামায আদায় করতে বের হতেন। (বুখারী: ২২৯) শাব্দিক কিছু তারতম্যসহ এ হাদীসটি মুসলিম, আবু দাউদ, ইবনে মাজা এবং নাসাঈ শরীফেও বর্ণিত হয়েছে। (জামেউল উসূল-৫০৬৪)
সারসংক্ষেপ : পূর্বোক্ত হাদীস দুটি দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, কাপড়ে নাপাক লেগে থকলে তা নিয়ে নামায পড়া যাবে না। বরং অবশ্যই তা ধুয়ে পাক করেই তবে নামায পড়তে হবে। কাপড় পবিত্র করার বিস্তারিত পদ্ধতি ফিকহের কিতাবে দেখে নেয়া যেতে পারে।
হাদীসের স্তর : সহীহ। ইমাম তিরমিযী রহ. এ হাদীসটিকে হাসান-সহীহ বলেছেন।
হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি রসূলুল্লাহ সা.-এর কাপড় থেকে বীর্য ধুয়ে ফেলতেন; আর রসূল স. কাপড়ে ভেজা চিহ্ন নিয়ে নামায আদায় করতে বের হতেন। (বুখারী: ২২৯) শাব্দিক কিছু তারতম্যসহ এ হাদীসটি মুসলিম, আবু দাউদ, ইবনে মাজা এবং নাসাঈ শরীফেও বর্ণিত হয়েছে। (জামেউল উসূল-৫০৬৪)
সারসংক্ষেপ : পূর্বোক্ত হাদীস দুটি দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, কাপড়ে নাপাক লেগে থকলে তা নিয়ে নামায পড়া যাবে না। বরং অবশ্যই তা ধুয়ে পাক করেই তবে নামায পড়তে হবে। কাপড় পবিত্র করার বিস্তারিত পদ্ধতি ফিকহের কিতাবে দেখে নেয়া যেতে পারে।