অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারের কারণে যেসব রোগ হতে পারে
করোনার সংক্রমণের এই মুহুর্তে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বের হন না। তাই এখন বেশিরভাগ সময় বাড়িতে কাটছে। একঘেয়েমি কাটিয়ে উঠতে আপনি সম্ভবত বেশিরভাগ সময় টিভি, মোবাইল এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যয় করছেন।
স্মার্টফোন ব্যবহার আধুনিক বিশ্বের প্রায় প্রত্যেকের জীবনের একটি অঙ্গ হয়ে উঠেছে। বাচ্চা থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক সবার কাছে স্মার্টফোন রয়েছে।
একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ব্যক্তিরা করোনায় লকডাউনের কারণে প্রতিদিন ৫ ঘন্টার বেশি ফোন ব্যবহার করছেন। যা আগের তুলনায় দ্বিগুণ বা তার বেশি সময় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার ভয়াবহ রোগের কারণ হয়ে উঠছে। যার নাম ‘স্মার্টফোন পিঙ্কি সিনড্রোম’।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে- ‘স্মার্টফোন পিঙ্কি সিনড্রোম’ কী? এবং অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলে কোনও ব্যক্তি কীভাবে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
‘স্মার্টফোন পিঙ্কি সিনড্রোম’ কী?
স্মার্টফোনগুলি আকারে বড় এবং ভারী হয়। এই ফোনগুলি বেশিরভাগ সময় হাত ধরে আঙ্গুলের ওজনের সাথে বা আঙুল ভর দিয়ে ব্যবহৃত হয়। তাই ফোনের বেশিরভাগ ওজন হাতের আঙুলের উপর থাকে।
এটি আঙুলের জয়েন্ট এবং থাম্বের এর উপর চাপ পরে এবং ব্যথার কারণ হয়। এই ব্যথা পরে বাত বা বাতজনিত ব্যথা দেখা দিতে পারে। একে ‘স্মার্টফোন পিঙ্কি সিনড্রোম’ বলা হয়।
এই রোগের লক্ষণগুলি
ছোট আঙুল এবং থাম্ব (বুড়ে আঙুল) এ ব্যথা থাকে এবং আঙুলের জয়েন্টে অসহনীয় ব্যথা হয়।
প্রতিরোধে কী করবেন
১. কোনও স্মার্টফোন টানা ব্যবহার না করে মাঝে মাঝে বিরতি নিন। বিরতি নেওয়ার সময় আঙ্গুলগুলি প্রসারিত করুন এবং হাত এবং আঙুলের অনুশীলন করুন।
২. স্মার্টফোন অতিরিক্ত ব্যবহার করবেন না। অবসর সময়ে গেম ও ভিডিও, টেক্সট দেখা ও লেখার জন্য অল্পসময় নির্ধারণ করুন।
৩. ফোনের স্পিচ ব্যবহার করুন টাইপ না করে ।
৪. যে কোনও ধরণের সিনেমা বা ভিডিও দেখতে স্ট্যান্ড ব্যবহার করুন।
৫. ভিডিওতে কথা বলার সময় ফোনটিকে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে কথা বলুন।
৬. দীর্ঘ সময় ধরে এক হাতে ফোন ব্যবহার না করে হাত বদলান।
৭. ভয়েস কল করার সময় লাউডস্পিকারের মাধ্যমে কথা বলুন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করুন। আপনি যদি এটি ব্যবহার না করেন তবে ফোনে ৫-৭ মিনিটের বেশি কথা বলবেন না।
৮. আপনার আঙ্গুলের ব্যথা বা ফোলাভাব দেখতে পেলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং প্রয়োজন ছাড়া ঘড় থেকে বের হবেন না আল্লাহ হাফেজ।